বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
দিন দিন অপহরণের মত অপরাধ বেড়েই চলেছে রিয়াদ, দাম্মাম ও জেদ্দাতে-
বর্তমান সময়ে সৌদিআরব রিয়াদে প্রচুর পরিমাণে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশী অভিবাসীদের অর্ধেকের বেশি এই দেশটিতে অবস্থান করছে। দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং প্রবাসে দেশীয়দের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যে লক্ষ্য তা এই অপরাধের কাছে নিশ্বেষ হওয়ার দারপ্রান্তে।।
বিশেষ করে অপহরণ অন্যতম অপরাধ হয়ে উঠেছে,যেমন চালক সেজে সাধারণ যাত্রীকে অপহরণ আবার যাত্রী সেজে চালককে তার গাড়িসহ অপহরণ। এইক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীগণ শুধুমাত্র রেজিষ্ট্রেশনকৃত টেক্সি বা লিমোজিন ব্যাবহার করতে পারেন আবার চালকগণও শুধুমাত্র বৈধ উপায়ে নিবন্ধিত কোম্পানির গাড়ি চালাতে পারেন।
আকাশে থুতু দিলে সেটা নিজের উপরে পড়ে সেটাই স্বাভাবিক। যেখানে অপরাধী ও ভুক্তভোগী দু’পক্ষই স্বদেশীয় তাহলে দোষটা কার সেটা কারোই অজানা নয়।
একজন লোক তার কাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত কিছু আয়ের জন্য টেক্সি চালান যেটা সম্পূর্ণ অবৈধ তিনি অপহৃত হলেন তার কাছে নগদ অর্থ ছিলো প্রায় ২০-২৫ হাজার যেখানে সৌদি নাগরিকরাই হাত খরচের ১০-২০ রিয়ালই নগদ রাখেন না।এখন প্রশ্ন এতো টাকা তারকাছে কেন??? আপনাদের বুঝতে সহজ করে বলি,আমরা জানি হুন্ডি একটি অবৈধ পন্থা দেশে হুন্ডিতে টাকা প্রেরণ আবার স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমেও সাধারণ যাত্রীদের মাধ্যমে মধ্যপন্হায় চালান। আর এসমস্ত ব্যাবসা যারা করেন তারাই মুলত টার্গেটে থাকেন। আবার কেউ ছোটখাট বিকাশ লেনদেন করেন আত্বিয়-সজন বাংলাদেশে এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে,এখানে অপহরণ করে বিভিন্ন অজুহাতে যেমন ইকামা বানানোর টাকা লাগবে,অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য বা বাসা ভাড়া অথবা কফিলগত সমস্যা দেখিয়ে, যেকোনো সাধারণ প্রবাসীদের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা লেনদেন করবে। আর এভাবেই নিজের অজান্তে জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধ চক্রের সাথে।
আমরা প্রবাসীরা যদি শতর্ক থাকি তাহলে এসমস্ত অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব।।
কিছুদিন ধরে বাথায় আসা যাওয়া হচ্ছে, সেখানে মধ্যবয়ষী নারীরা ভিক্ষাবৃত্তী এবং যৌনকাজে সরাসরি জড়িত দেখেও কিছু করার নেই কারণ আমরা ঝামেলা পছন্দ করিনা।
এবার আসি আসল জায়গায়, বাংলাদেশ দূতাবাস নিরব,নিথর!! হয়তো উনারাও ঝামেলাই মনে করেন।বিভিন্ন সেমিনার,মিটিং আলাপ-আলোচনায় অপরাধ বিষয়ে এগুতে চাননা।
ব্যাক্তিগত কিছু কথা দিয়ে শেষ করবো,আমাদের প্রবাসীদের অবিভাবক বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের নিরব দর্শক হিসেবে নিজেদের দেশ এই প্রবাসে কতটুকু এগিয়ে যাবে???
আমাদের জনশক্তি অনেক আমাদের সমস্যাও হবে অনেক শুধুমাত্র ভিষানিতী ঠিক রেখে বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্ভুদ্ধ করবেন কিন্তু সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজবেন না বিষয়টা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো হয়ে গেলোনা??
রাষ্ট্র এগিয়ে আসতে হবে হোক দেশ হোক প্রবাস, আমরা আছি আপনাদের সাথে,যেকোন অপরাধে নিকটস্থ থানায় প্রথমে রিপোর্ট করুন,আপনার নিজস্ব কমিউনিটিকে জানান ভালো মন-মানসিকতার মানুষের সরানাপন্ন হোন।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজে কোনপ্রকার অনৈতিক কাজে জড়াবেননা।
আসুন আমাদের দেশকে সচল-রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার স্ফীতি বাড়াতে সবাই একহয়ে দূতাবাসকে এবং এখানকার প্রশাসনকে সহযোগিতা করি এবং নিজেরা কোনভাবেই এই চক্রের সহায়তা না করি,তাহলেই সম্ভব আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করি।