বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবসে ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন, তা নিয়ে মনঃক্ষুণ্ণ হলেও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়নি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে তারা দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের পদ্ধতির ব্যাপারে এনসিপি ছাড় দিতে রাজি নয়।

এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ পাঁচজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এই মনোভাবের কথা জানা গেছে। তাঁরা বলছেন, জুলাই সনদের বিষয়টি সুরাহা হওয়ার পর তাঁরা নির্বাচনমুখী কার্যক্রমে মনোযোগ দেবেন।
এনসিপি মনে করে, জুলাই ঘোষণাপত্র, নির্বাচনের সময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির চাওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছে সরকার। এখন জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিএনপি যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে জন্য দলটির ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে চায় এনসিপি।

এরই অংশ হিসেবে এনসিপির কোনো কোনো নেতা জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত সময়সীমা নিয়ে ভিন্ন সুরে বক্তব্য দিচ্ছেন। দলটি চাইছে বিএনপি জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে দ্রুত সম্মত হোক। এনসিপির একটি সূত্র জানায়, তারা জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে বিশেষ শোরগোল করেনি, সেটা তাদের দিক থেকে একধরনের ‘ছাড়’। এর মধ্য দিয়ে বিএনপিকে একটা বার্তা দিয়েছে তারা, যাতে বিএনপি জুলাই সনদ প্রশ্নে অন্য দলগুলোর চাওয়াকে গুরুত্ব দেয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনবিশিষ্ট। এই সদস্যরা মনোনীত হবেন পিআর পদ্ধতিতে। যদিও এ বিষয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের ভিন্নমত আছে।
যদিও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিষয়ে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দলটির নেতারা বলে আসছেন। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় ভিন্নমতের কারণে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি শেষ পর্যন্ত সম্মত হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় আছে এনসিপির। এ জন্য তারা বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে। এই ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের অবস্থানও প্রায় একই রকম।