বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন

নোটিশ :

" দয়া নয় কর্ম চাই, বাঁচার মতো বাচতে চাই " *তারুণ্য মুক্তির ৭ দফা প্রস্তাবনা -

👉 সকল ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকুরী ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। 👉 শিক্ষার সকল স্তরে চাহিদা ভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আইসিটি সেক্টরে তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 👉 সকল প্রকার চাকরিতে আবেদন ফি, অবৈধ সুপারিশ, যেকোনো জামানত ও বয়সসীমা মুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুষ ও দূর্নীতি মতো অসদুপায়ে নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সরকারি ও বেসরকারি চাকরির বৈষম্য অবসান ঘটাতে হবে। 👉 স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরি এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যাবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশের স্থানীয় উৎপাদিত পন্যের উৎপাদন ও আন্তজার্তিক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। 👉 শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান , শিক্ষিত ও শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ঝড়ে পড়াদের এই আওতায় আত্মকর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশের মোট ঋণ প্রদানের ৫০% ঋণ প্রদান করতে হবে। কর্ম ও ঋণ আওতার বাইরে সকল তরুণদের বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে। 👉 দেশের সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে শতভাগ চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে হবে। চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতার বাইরে থাকাদের উপযুক্ত পরিমাণ ভাতা প্রদান করতে হবে। 👉 বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যাবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বা সুদমুক্ত ঋণসুবিধার আওতায় বিদেশে প্রেরণ করতে হবে। বিদেশে তরুণদের জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে অবাধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের দেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাস গমনে তৃতীয় পক্ষের দৌড়াত্ব অবসান, প্রবাসে সকল চিকিৎসা, দেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসী বান্ধব ও দূর্নীতিমুক্ত করতে হবে। প্রবাসীদের প্রবাসে থাকা অবস্থায় সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশ প্রেরনের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক (ভিআইপি) মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ শিরোনাম:
বগুড়া-৩ আসনে বিরল দৃষ্টান্ত! প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর মধ্যে ঘটে গেল এক বিষ্ময়কর ঐতিহাসিক ঘটনা!! সৌদি আরব জাকের পার্টির উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) ও জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।। সংবর্ধনা ও বিশেষ সাক্ষাৎকার অনষ্ঠান।। বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রিয়াদ সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল যুব দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন।। বাথা, রিয়াদে বাংলাদেশী মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত বিশ্বমানের রেস্টুরেন্ট ইয়াসমিন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ক্যাম্পিং প্রচারণা বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরাম (বাপ্রসাফ) এর সাধারণ সভা ।। সৌদি আরবে নতুন কাউন্সিলর (হজ ) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন উপসচিব মো. কামরুল ইসলাম। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তমজন্মদিন উপলক্ষ্যে সৌদি আরব প্রবাসী লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির  উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ঢাবিতে ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দেয়ার পর ভিসিকে ফোনে যা বলেছিলেন হাসিনা জুলাই সনদ ঘিরে বিএনপিকে চাপে রাখতে চায় এনসিপি আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না: জিএম কাদের সরকার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে, শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বললেন রাশেদ খাঁন ডিজিএফআইয়ের হেডকোয়ার্টার ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এপিসি থেকে ফেলে ইয়ামিনকে হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ সেপ্টেম্বর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

পতিত ফ্যাসিস্টের আর্শিবাদপুষ্ট কর্মকর্তাদের ‘প্রটেকশন’ দিচ্ছেন সরকারের ৪ উপদেষ্টা।।

পতিত শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ সরকারি অনেক দপ্তর ও সংস্থায় এখনোও বুক ফুলিয়ে রাজত্ব করছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তন হয়েছে সামান্যই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে হাসিনার নিয়োগকৃত অধিকাংশ কর্মকর্তাই রয়ে গেছেন। তারা জোটবদ্ধ এবং নিজেদের মধ্যে কিছুদিন পরপর গোপন বৈঠকও করেন, যেন তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। এ অবস্থায় সচিবালয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে সহসাই ‘আমলা বিদ্রোহ’ এবং নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অনুসারী আমলারা ‘জনতার মঞ্চ’ নাম দিয়ে আন্দোলন করেন এবং একপর্যায়ে সচিবালয়ে ‘আমলা বিদ্রোহ’ হয়। তারই পুনরাবৃত্তির আলামত দেখা যাচ্ছে পতিত সরকারের সুবিধাভোগীদের মধ্যে।


সচিবালয় সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের চারজন উপদেষ্টা তাদের মন্ত্রণালয়গুলোতে আওয়ামী সচিব এবং অতিরিক্ত সচিবদের প্রটেকশন দিচ্ছেন। তারা মৌখিক আদেশ দিয়েছেন যে, সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার সম্মতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তাকে পদায়ন কিংবা প্রত্যাহার করা যাবে না। এ ধরনের নির্দেশনার ফলে ফ্যাসিস্ট আমলের অনেক সুবিধাভোগী কর্মকর্তা আগের মতোই বেপরোয়াভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ ছাত্রলীগ করতেন। তার কিছুই হয়নি। স্বপদেই রয়েছেন। সাতক্ষীরা হত্যাযজ্ঞের নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত সচিব নাজমুল আহসানকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান সালমান এফ রহমান এবং পলাতক গভর্নর রউফের লোক হিসেবে পরিচিত। ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ইসমত আরা সাদিকের পিএস ছিলেন। নাজমা মোবারক এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান ও পলাতক গভর্নর রউফ এবং পতিত সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকার বন্ধু। তারাও আছেন বহালতবিয়তে এবং পদোন্নতি পাচ্ছেন।
হাসিনার দোসর হিসেবে চিহ্নিত অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী (৬৩৬২) ও ইআরডি অতিরিক্ত সচিব একেএম শাহাবউদ্দিনকে (৬৩৫৯) ইতোমধ্যে সচিব করা হয়েছে। তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির জন্য অন্যতম অভিযুক্ত মেজবাহ উল হকের স্ত্রী তসলিমা কানিজ নাহিদকেও (৬৩৪০) সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অথচ পদোন্নতি ও পদায়নের জন্য গঠিত কমিটি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তীকালে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবদের সচিব পদে পদোন্নতি দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন।
৫ আগস্ট-পরবর্তী সরকারের আদেশগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জুলাই আন্দোলনের সমর্থকদের প্রতি অবহেলা করা হচ্ছে। অন্যদিকে হাসিনার অনুগত যারা টুঙ্গিপাড়া কিংবা ৩২ নম্বরে গিয়ে ফুল দিয়েছেন, তাদের পদায়ন কিংবা পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।

সচিবালয়ে হাসিনার পক্ষে আমলা বিদ্রোহের আশঙ্কা
সচিবালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে শেখ হাসিনা থাকাকালে যেসব কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হন, বর্তমান সরকারের আমলে তাদেরই পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে। এরা ফ্যাসিস্টদের সহযোগী ছিলেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতা করেছেন। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে যারা অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন এবং ১৭ বছর বঞ্চিত এবং নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের পরবর্তী পদোন্নতি অর্থাৎ সচিব পদে পদায়ন কিংবা পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। অজুহাত দেখানো হচ্ছে, এদের অভিজ্ঞতা কম। এদের মধ্যে অতি সামান্যসংখ্যক কর্মকর্তাকে সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। অথচ এরা পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে সচিবালয়ে পরিচিত।
অবসরপ্রাপ্ত সচিব, অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি এবিএম আবদুস সাত্তার শুক্রবার বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি সেমিনারে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের উপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ব্যাচমেট ও বন্ধু মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব ও জনপ্রশাসন সচিব ফোন করলে ফোন ধরেন না। তারা ফ্যাসিস্ট আমলের অপকর্মের হোতা আমলাদের অপসারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বিগত ১৭ বছরের বঞ্চিত ও নির্যাতিত কর্মকর্তাদের যথোপযুক্ত পদায়ন এবং পদোন্নতির উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এটা দুঃখজনক। তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার দুনীতির প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হয় না, বদলিও হয় না।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ServerNeed.com