বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
বগুড়ার আদমদীঘিতে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ওঠা ওই বিএনপি সাধারণ সম্পাদকের নাম আবু হাসান। এ ঘটনায় গত শনিবার সন্ধ্যায় মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে থানায় আবু হাসান, শাওনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেন। ঘটনার দুইদিন পেড়িয়ে গেলেও আইনগত কোন পদক্ষেপ নেই বলে জানায় মসজিদ কমিটির লোকজন। এতেকরে তারা পুলিশের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত শুক্রবার জুমার নামাজের দিনে আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের ডহরপুর পূর্বপাড়া পীরপাল মসজিদে ঘটনাটি ঘটে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আদমদীঘি ডহরপুর পূর্ব পাড়া পীরপাল মসজিদ কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। চলতি বছরে গত ১৬মার্চ আদালতের রায়ে ডিগ্রি হয়। আব্দুল হামিদকে সভাপতি নিযুক্ত করে আদালত রায় দেন। পদাধীকার বলে তিনি মসজিদের পরিচালনা করবে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে ২০ তারিখে শুক্রবার জুমার দিন মসজিদে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত শুক্রবার (২৭ জুন) জুমার নামাজের দিনে মসজিদের ভিতরে কমিটি হিসাবনিকাশ নিয়ে আলোচনার সময় উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান ও তার তিন ছেলেসহ আরও কয়েকজন দলবদ্ধ ভাবে কমিটির লোকজনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুর হয়। একপর্যায়ে আবু হাসান হত্যার উদ্দেশ্যে মসজিদের সভাপতি আব্দুল হামিদকে দুই হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে৷ তাকে রক্ষা করতে মুসল্লী জায়দুল এগিয়ে আসলে আবু হাসানের দ্বিতীয় ছেলে নাস্তাইনের কাছে থাকা চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে আঘাত করে। তখন জায়দুল হাত এগিয়ে দিলে তার হাতে গুরুতর জখম হয়। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এসময় আবু হাসানের লোকজন শফিকুলের চাকু দিয়ে মুসল্লী লোকমান আলীকে মাথায় আঘাত করলে ডান হাত দিয়ে ঠেঁকালে হাতের আঙুল কেটে গুরুতর আহত তিনি। এরপর আবু হাসানের লোকজনের সঙ্গে মসজিদ কমিটির লোকজনের বেধড়ক মারপিট শুরু হয়। এতেকরে অনেকেই গুরুতর আহত হন। পরে তাদের আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, তার ছেলে শাওন, নাস্তাইন সহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান জানান, ঘটনাটি এমন নয়। এই মসজিদ কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। আব্দুল হামিদ দায়িত্ব নিয়ে আছে। গত ১৭ বছর সে কোন মসজিদে হিসাব দিতে পারিনি। এই বিষয়ে মুসল্লীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমাকে এবং আমার ছেলেদের জড়ানো হচ্ছে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন মসজিদ কমিটি। তদন্তের আগেই তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য চেষ্টা করছে এমন ম্যাসেজ আমাদের কাছে দিয়েছেন।