বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৫ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনার দুঃশাসনের সময় বুক চিতিয়ে লড়াই করা সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
গত ৮ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করা,গুম,খুন, ধর্ষন,চাঁদাবাজি, দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, শিক্ষার্থী তথা গণমানুষের কন্ঠস্বর হিসেবে কাজ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। যার জন্য চড়া মূল্য চুকাতে হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ,জেলা,মহানগর,থানা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দদেরকে। ছাত্র অধিকার পরিষদ করার কারনে লীগের সন্ত্রাসী হামলা, পুলিশের রিমান্ড জেল জুলুম অত্যাচারের স্বীকার হতে হয় নাই এমন সংখ্যা নাই বললেই চলে। হাসিনার পতন হয়েছে কিন্তু আমরা জানি আমাদের সংগ্রাম অব্যহত থাকবে। আমাদের লড়াই এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে, খুনি -চাঁদাবাজ -সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। যারাই এই চরিত্র ধারন করবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাগ্রে প্রতিবাদ করবে ছাত্র অধিকার পরিষদ। রাজধানীর মিটফোর্ডে যুবদল কর্মীদের নৃশংস হত্যার স্বীকার লাল চাঁন ওরফে সোহাগ হত্যার বিচারের দাবিতে এবং দেশব্যাপী অব্যহত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গতকাল আমরা প্রতিবাদ করি। এরপরপরই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আল মারজান ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লাকে কুরুচিপুর্ণ ভাষায় হুমকি প্রদান করেন। কবরের মাপ নিয়ে রাখিস,আব্বা ডাকার সময় আসবে এইধরনের হুমকি ধমকি ছাত্রলীগের আমলে নিয়মিত পেতাম। দুঃখ লাগে রাজপথের মিত্র,ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের সহযোদ্ধাদের আচরন দেখে। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সেক্রেটারি তো দুরের বিষয় কর্মীরা এইসব হুমকিকে থোরাই কেয়ার করে না। শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই আমাদের জন্ম, হয়তো মেরে ফেলতে পারবেন কিন্তু থামাতে পারবেন না। ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান রাজনৈতিক সহাবস্থান নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করুন। পেশী শক্তি,অস্ত্রের ঝনঝনানি নয় রাজনীতি হোক মেধা-মননের।