বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে স্থানীয় পত্রিকার ফিরোজ আহম্মেদ নামে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফজরের নামাজে যাওয়ার পথে তাঁকে পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ফিরোজ আহম্মেদ দৈনিক আজকের সূত্রপাতের মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও মিরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ‘আলো’-এর নির্বাহী পরিচালক।

হামলায় ফিরোজের বাঁ পা, ডান হাত ও মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফিরোজ আহম্মেদের নাতির সঙ্গে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মিলনের ছেলের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ফিরোজ ওই ছেলেকে চড় দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন মিলন। পরে মিরপুর থানা-পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
ফিরোজের পরিবারের অভিযোগ আজ ভোরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সড়কে ওত পেতে থাকা মিলনসহ কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ফেলেন। তাঁদের হাতে থাকা লোহার রড ও ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। মাটিতে ফেলে কয়েক মিনিট ধরে হাত, পা ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা ফিরোজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।
ফিরোজের স্ত্রী ইয়াসমিন রওশন আরা বলেন, ‘মিলন কয়েক দিন আগে পরিবারের সদস্যদের দৌলতপুরে পাঠিয়ে দেন এবং গ্রামের বাড়ি থেকে আরও কয়েকজনকে নিয়ে আসেন। এমন হামলা করবে, তা আঁচ করতে পারিনি। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করব।’
মিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, ফিরোজের মাথায় ১৮টি সেলাই পড়েছে। বাঁ পায়ের একাধিক হাড় ভেঙে গেছে। তাঁকে সিটিস্ক্যানের জন্য বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা ভালো নয়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুর রহমান বলেন, পূর্বের একটি ঘটনা মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল। আজ আবার তাঁর (ফিরোজ আহম্মেদ) ওপর হামলা চালানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে