বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া যে দল বা প্রার্থী ফাউল করবে নির্বাচন কমিশন তাকেই লালকার্ড দেখানোর সক্ষমতা ও সাহস থাকতে হবে, না হয় নির্বাচন সুষ্ঠু করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।শনিবার সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমদ চৌধুরী কিরণ স্পিকার হিসেবে বিতর্ক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিতর্কে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চাইতে প্রার্থী ও ভোটারদের ভূমিকাই প্রধান’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্কে অংশ নেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা কমার্স কলেজের বিতার্কিকরা।
ঐকমত্য কমিশনে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘একটি দল অনায়াসে ক্ষমতায় চলে আসবে নির্বাচনের আগেই এ ধারণা সৃষ্টি হওয়াটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিপজ্জনক। এ ধারনা সংশ্লিষ্ট দলের জন্য যেমনি ক্ষতিকর তেমনি অন্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেও শঙ্কা তৈরি করবে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, পতিত আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই গণহত্যা-লুটপাটের সঙ্গে যুক্ত ও গণধিকৃত। তারা নির্বাচনে এলে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে, এতে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। কাজেই তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। 
আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গৃহযুদ্ধের কোনো আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত। নির্বাচনে অনিয়ম হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না পারলে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে নির্বাচনের টোটাল সিস্টেমই করাপ্ট (নীতিভ্রষ্ট) করা হয়েছে। প্রচলিত আসন কেন্দ্রিক ভোট পদ্ধতি দুর্নীতির কারণে ফেল করেছে। আবার পিআর পদ্ধতি সমর্থন যোগ্য হলেও তাতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে মিশ্র পদ্ধতি বেছে নেয়া যায়। আগামীতে সরকারি দল ও বিরোধী দল মিলে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে—এটি ঐকমত্য কমিশনের একটি বড় অর্জন। এতে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হবে এবং তাদের সক্ষমতা বাড়বে। ![]()
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ে প্রার্থীসহ ভোটারদের ভূমিকাই প্রধান’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ঢাকা কমার্স কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা কালেজের বিতার্কিকরা জয় লাভ করেন। প্রতিযোগিতা বিচারক ছিলেন, অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক কাজী জেবেল, সাংবাদিক সাইদুর রহমান ও শিরিনা খাতুন বীথি। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
